আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহীদনগরে আবু সাইয়িদের উদ্যোগে বীর বাঙালি’ভাস্কর্য নির্মাণ,শহীদদের মর্য়াদা রক্ষায় এখনো বাকী কাজ অসমাপ্ত

শহীদনগরে আবু সাইয়িদের উদ্যোগে

শহীদনগরে আবু সাইয়িদের উদ্যোগে

নবকুমার:

১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল সাঁথিয়ার ডাব বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ চলে দুই দফায় প্রথম দফা যুদ্ধে প্রায়  ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। । দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পাকবাহিনীর বিশাল শক্তির কাছে টিকতে না পেরে মুক্তিসেনারা পিছু হটে যায়। দ্বিতীয় দফা আক্রমনে শহীদ হন ইপিআর হাবিলদার মমতাজ আলী, হাবিলদার আব্দুর রাজ্জাক, নায়েক হাবিবুর রহমান, সিপাহী এমদাদুল হক, সিপাহী ঈমান আলী, সিপাহী রমজান আলীসহ আরও অনেক ইপিআর সদস্য।

পাক বাহিনী ওই সকল শহীদ ইপিআর সদস্যদের দেহ এসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। পাক-সেনারা গ্রামবাসীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। একে একে পুড়িয়ে দেয় ডাববাগানের পার্শ্ববর্তী গ্রাম রামভদ্রবাটি, কোড়িয়াল, বড়গ্রাম, সাটিয়াকোলা প্রভৃতি গ্রাম। নির্বিচারে গুলি চালায় নিরীহ গ্রামবাসীর উপর। লোকজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরে এনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে শত শত স্বাধীনচেতা গ্রামবাসীকে। এদের মধ্যে করমজা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আফাজ ডাক্তার, আঃ লতিফ, শেখ কাজেম আলী, খোয়াজ শেখ, পিয়ার মন্ডল, জাকের আলী শেখ, সৈয়দ আলী মোলৱা, জগনারায়ণ বিশ্বাস প্রমুখ।

২০০১ সালে আওয়মীলীগ সরকারের আমলে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহীদনগরে ‘বীর বাঙালি’ নামের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবছরের ১৯ এপ্রিল সেখানে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

স্থানীয়দের দাবি শহিদদের স্মৃতি সংরক্ষণে ডাববাগানে একটি লাইব্রেরী নিমান সহ বেশ কিছু কাজ অসমাপ্ত ছিলো যা বর্তমান সরকারের আমলে করা হয় নি। বর্তমানে শুধু অনুষ্ঠান করা  হয়।শহিদের মর্যাদা রক্ষা কোন কাজ করা হচ্ছে না।

ডাব বাগান যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।সেই জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধকে ধারণ করতে হবে।যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধকে ধারণ করতে পারে না জামায়াত শিবিরের সাথে আতাত করে চলে তাদের অনুষ্ঠান করা মানায় না, অনুষ্ঠান করলে ডাব বাগান শহিদের সাথে অবমাননা করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ